বাংলাদেশের জাতীয় উদ্যান পরিচিত বোটানিক্যাল গার্ডেন হিসেবে। জাতীয় চিরিয়াখানার পাশেই বোটানিক্যাল গার্ডেন অবস্থিত। এই গার্ডেনে রয়েছে চেনা-অচেনা নানান ধরনের গাছ-গাছালি। ২০৮ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত এই জাতীয় উদ্যানটি। প্রতিদিন শত শত সাধারণ মানুষ, দর্শনার্থী জাতীয় উদ্যান প্রদর্শন করতে আসে। ঢাকার ওয়ারি এলাকায় এই উদ্যানের আরও একটি অংশ আছে, যা বলধা গার্ডেন নামে পরিচিত।

গার্ডেনটির অবস্থান

মিরপুর-১, জাতীয় চিরিয়াখানার পাশেই অবস্থিত।

কিভাবে যাবেন

গাবতলী বাসষ্ট্যান্ড থেকে ছোট লেগুনায় করে ১০ টাকা ভাড়া দিয়ে সরাসরি বোটানিক্যাল গার্ডেনে যাওয়া যায়। সদরঘাট বাসষ্ট্যান্ড থেকে মিরপুর-১ এ যে সব গাড়ী গুলো যায় তাতে উঠলে ২৫ টাকা ভাড়া দিয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেনে যাওয়া যায়।

উপভোগ করা যাবে

এই উদ্যানটিতে রয়েছে প্রায় ৮০০ জাতের বৃক্ষরাজি। এই সব বৃক্ষরাজির মধ্যে রয়েছে নানান ধরনের ফল ও ফুলের বাগান। উদ্যানটি প্রায় ২.৫ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট হওয়ায় ফল ও ফুলের বাগান ছাড়াও রয়েছে পুকুর, দীঘি, ঝোপঝাড় ও নানান প্রজাতির ঔষধির গাছ।বোটানিক্যাল গার্ডেন

প্রধান আকর্ষন

এই উদ্যানটির প্রধান আকর্ষন নানান প্রজাতির বৃক্ষরাজি ও সুশীতল শান্ত পরিবেশ।

বন্ধ-খোলার সময়সূচী

মার্চ থেকে নভেম্বরঃ প্রতিদিন সকাল ৯.০০ টা থেকে বিকেল ৫.০০ টা পর্যন্ত
ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারিঃ প্রতিদিন সকাল ৯.০০ টা থেকে বিকেল ৪.৩০ টা পর্যন্ত

টিকেট মূল্যঃ

বড়দের ১০টাকা, ছোটদের ৫ টাকা। কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষ শিক্ষা সফরে আসা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রবেশ মূল্য ৩ টাকা।

বিশেষ দিক

উদ্যানটিতে নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত রয়েছে প্রায় ৬০ জন নিরাপত্তা কর্মী। এই সব নিরাপত্তা কর্মীরা দর্শনার্থীদের বিশেষ নিরাপত্তা দিয়ে থাকে।

অভিযোগ করবেন যেখানে

দর্শনার্থী যে কোন ধরনের বিপদে গার্ডেনের ভিতরে অবস্থিত বন-বিভাগের কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ করতে পারেন।

বিবিধ

জাতীয় উদ্যানের সামনের ছোট ছোট ফাস্টফুড থেকে কিছু না কিনে খাওয়ায় ভালো। কেননা এখানে প্রত্যেকটি দ্রব্যের দাম অনেক বেশি। মানসম্মত খাবারের জন্য মিরপুর-১ গোল চত্বরের যে কোন রেষ্টুরেন্ট ভালো।