হিমালয়ান পর্বতমালার সবচেয়ে বড় উপত্যকা কাশ্মীরকে বলা হয় ভূস্বর্গ । এখানে এসে স্বয়ং মোগল সম্রাট জাহাঙ্গীর বলেছিলেন, ‘পৃথিবীতে যদি কোথাও স্বর্গ থাকে, তবে তা এখানেই আছে, এখানেই আছে এবং এখানেই আছে।’ এমন জায়গায় কে না যেতে চায়? চলুন জেনে নেই সম্পূর্ণ কাশ্মীর ভ্রমণ গাইড: কিভাবে যাবেন, কোথায় ঘুরবেন, খরচ কত?
জম্মু ও কাশ্মীর হল ভারতের একটি রাজ্য। এই রাজ্যটি প্রধানত হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত। এই রাজ্যের দক্ষিণে ভারতের হিমাচল প্রদেশ ও পাঞ্জাব রাজ্যদুটি অবস্থিত। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের উত্তরে ও পূর্বে গণচীন অবস্থিত। এই রাজ্যের পশ্চিমে ও উত্তরপশ্চিমে লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোলের ওপারে কাশ্মীরের পাকিস্তান-শাসিত অংশ আজাদ কাশ্মীর ও গিলগিত-বালতিস্তান অবস্থিত।
মোঘল সম্রাটরা দিল্লীর গ্রীষ্মের তাপদাহ থেকে নিস্তার পেতে অবকাশ যাপনের জন্য ছুটে আসতেন কাশ্মীরে। চশমাশাহী, পরিমহল, শালিমার, নিশাত, ভেরি নাগ ইত্যাদি তারই স্বাক্ষ্য বহন করছে। শুধু কি মোগল বাদশারা ? বর্তমানে সমস্ত পৃথিবী থেকেই ভ্রমণ পিপাসু মানুষেরা ভূস্বর্গ কাশ্মীর দেখার জন্য প্রতিনিয়ত ছুটে আসেন এখানে ।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাত হাজার ফুট ওপরে সবুজ উপত্যকা আর শান্ত হ্রদে ঘেরা কাশ্মীরে এসে আপনার কাছে মনে হবে, সময়টা বুঝি হঠাৎ থেমে গেছে। সবকিছু ছবির মতো। কোটিকোটি বুনো ফুলে ঢাকা উপত্যকায় ছুটে বেড়ানো ঘোড়ার দল, পাইন, ফার, বার্চগাছের সারি, নীলআকাশে মাথা গুঁজে থাকা পর্বত জুড়ে মেঘেদের খেলা, সেখান থেকে নেমে আসা দুরন্ত ঝরনার নাচ, পর্বতমালার ভেতর দিয়ে এঁকেবেঁকে চলা রাস্তা, কখনো মাটি থেকে হাজার হাজার ফুটওপরে, কখনো বা ঢাল বেয়ে সটান নিচে, কখনো ঘুটঘুটে অন্ধকার সুড়ঙ্গের ভেতরে, আবার কখনো রাস্তার ধারালো বাঁকে গভীর গিরিখাদের নিচে উন্মত্ত পাহাড়ি নদী। সব মিলিয়ে যেন একটা স্বপ্ন দেখার মতো অভিজ্ঞতা।
বাংলাদেশ থেকে কাশ্মিরে যাবার জন্য আলাদা কোন ভিসার প্রয়োজন নাই। আপনার ভারতীয় ভিসা থাকলেই চলবে।
কখন যাবেন:
এপ্রিল থেকে অক্টোবর হল কাশ্মীর ঘোরার সবচেয়ে ভালো সময়। তবে যে সময়ই যান কম বেশি কাশ্মীরের রুপ আপনাকে মুগ্ধ করবেই । তবে কাশ্মীরের পুরো রুপ দেখতে চাইলে আপনাকে অন্তত তিনবার যেতে হবে।
বসন্তকাল ( এপ্রিল থেকে মে): এই সময় ফুলে ভরা ভ্যালী। টিউলিপ ফুলও দেখতে পারবেন। আর শীতের পরপরই তাই বরফ ও অনেক।
শরৎকাল (সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর): এই সময়ে বরফ কিছুটা কম থাকবে। তবে উপরের দিকে পাওয়া যাবে। যেমন, গুলমার্গ গন্ডোলার ২য় ফেজে, সোনামার্গের থাজিওয়াস হিমবাহে। এই সময় ফল পাওয়া যাবে। গাছে গাছে আপেল ঝুলে থাকবে। আর তার সাথে চিনার গাছের রঙ্গিন রুপ।
শীতকাল (ডিসেম্বর থেকে ফেব্রয়ারি): এই সময়ে দেখবেন সাদা শুভ্র পাহাড়। চারিদিকে শুধু বরফ আর বরফ আর Snow fall তো আছেই। তবে শীতকালে অসুবিধাও অনেক। শীতের অনেক প্রস্তুতি নিতে হবে, রাস্তা-ঘাট বন্ধ থাকে ফলে অনেক জায়গায় যেতেই পারবেন না। এমন কি আপনার আটকে পড়ার চান্স অনেক বেশী।
তাই সবদিক বিবেচনা করলে এবং আপনি যদি একবার যেতে চান, তাহলে এপ্রিল-মে উপযুক্ত সময়।
কিভাবে যাবেন, কোন পথে খরচ কত:
ঢাকা থেকে শ্রীনগর যাওয়ার বিভিন্ন রুট রয়েছে। ঢাকা হতে কলকাতা বা দিল্লী যেতে হবে প্রথমে। সেখান থেকে সরাসরি শ্রীনগর (বিমানে) অথবা জম্মু হয়ে শ্রীনগর (রেল ও সড়ক পথে)। জেনে নিন তিন পথে কিভাবে কাশ্মীর যাবেন।
ট্রেনে: প্রথমে ট্রেনে কিভাবে যেতে হবে সেটা বলি , ট্রেনে যেতে চাইলে আপনাকে ঢাকা থেকে কলকাতা কলকাতা থেকে জম্মু যেতে হবে এবং সেখান থেকে গাড়ী করে শ্রীনগর।
কলকাতা থেকে জম্মু যাওয়ার দুটি ট্রেন আছে। হিমগিরি ও জম্মু তাওয়াই, হিমগিরি সপ্তাহে ৩ দিন (মঙ্গল, শুক্র ও শনিবার) রাত ১১:৫০ টায় হাওড়া থেকে জম্মুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সময় লাগে ৩৫ ঘন্টা ৩৫ মিনিট। আর জম্মু তাওয়াই প্রতিদিন চললেও সময় একটু বেশী লাগে।
অনেকে আবার ট্রেনে দিল্লী গিয়ে আগ্রার তাজমহল এগুলো ঘুরে কাশ্মীর যায় সেক্ষেত্রে আপনি দিল্লী চলে যান সেখানে ঘুরে তারপর জম্মুর এভেইলেভেল ট্রেন পাবেন ।। কলকাতা থেকে দিল্লি যাবার ট্রেন সবসময়ই পাবেন ।।তবে রাজধানী এক্সপ্রেস আর দুরন্ত এক্সপ্রেসে আপনি ১৮ ঘন্টাতে পৌছে যেতে পারবেন অন্যান্যগুলোতে বেশি সময় লাগবে ।
কলকাতা থেকে জম্মু পর্যন্ত নন এসি স্লিপার ২২০০-২৫০০/- বাংলাদেশী টাকায় আর এসি ৩৩০০-৩৫০০/-টাকা পড়বে। এরপর জম্মু থেকে শ্রীনগর গাড়ীতে ৬ জনের দল হলে পার হেড ৬০০-৮০০/- টাকায় হয়ে যাবে। জম্মু থেকে শ্রীনগর যেতে সময় লাগবে ৮-১০ ঘন্টা।
বিমানে: কাশ্মীর যেতে হলে ঢাকা থেকে আন্তর্জাতিক বিমানে প্রথম যেতে হবে দিল্লি ইন্ধিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সেখান থেকে শ্রীনগর। অথবা ঢাকা থেকে কলকাতা যাবেন ট্রেনে বা বাসে পরে সেখান থেকে ডোমেস্টিক বিমানে জম্মু অথবা শ্রীনগর বিমানবন্দরে যাওয়া যাবে। কলকাতা থেকে সরাসরি শ্রীনগরে কোনো ফ্লাইট নেই তাই, দিল্লি হয়ে যেতে হয়।
বিমানের টিকেট শ্রীনগর পর্যন্ত ৮০০০/- ১৫,০০০/- টাকা বিভিন্ন মৌসুমের উপর নির্ভর করবে। তবে বিমান খরচ কমানোর সবচেয়ে ভালো বুদ্ধি হলো বাংলাদেশের কোন ট্রাভেল এজেন্সি দিয়ে যত আগে সম্ভব ১/২ মাস আগে বিমানের টিকেট কেটে রাখা এতে সস্তায় বিমানের টিকেট পাওয়া যায় ।
বাসে: দর্শনা বা বেনাপোল দিয়ে ঢোকায় ভাল হবে।
১।বেনাপোল (বেনাপোল-পেট্রাপোল) : ঢাকা থেকে যেকোন বাসে পৌছে যান সরাসরি বেনাপোল । সীমান্তে দুই দেশের ইমিগ্রেশন পেরিয়ে আরেকটি অটোরিকশায় ২০ রুপি নেবে বনগাঁও রেলস্টেশন পর্যন্ত। বনগাঁও থেকে কলকাতার ট্রেন পাওয়া যায় প্রায় প্রতি ঘণ্টায়ই। টিকেট হবে ২০-৩০ রুপি।
এছাড়া গ্রিনলাইন শ্যামলী সহ বেশকিছু বাস সার্ভিস সরাসরি কলকাতা পর্যন্ত যায় ।।
ট্রেনেও ঢাকা থেকে যেতে পারেন সরাসরি কলকাতা ভাড়া পড়বে ৬৫০ টাকার মতো ।। কমলাপুর বা চিটাগাং স্টেশনে টিকেট পাবেন ।
কলকাতা হয়ে যাওয়াটা বেস্ট কারণ কলকাতাটাও দেখা হয়ে গেলো 🙂
২। দর্শনা – গেদে দিয়ে যদি যেতে চান তাহলে প্রথমে দর্শনা হল্ট স্টেশনে যেতে হবে। এখান থেকে চেকপোস্ট ৫ কিঃমিঃ এর মত। আপনি অটোরিকশা বা ভ্যানে চলে যান। ভারতের দিকের চেকপোস্ট গেদে রেল স্টেশনেই। এখান থেকে ১ ঘন্টা ৩০ মিঃ পরপর ট্রেন আছে। ভাড়া শেয়ালদহ পর্যন্ত ৩০ রুপি ও দমদম জং ২৫ রুপি। আপনি যদি বিমানে শ্রীনগর যান তাহলে দমদম নামবেন আর ট্রেনে গেলে শিয়ালদহ।
সীমান্ত পেরিয়ে আপনার ডলারগুলো রুপিতে কনভার্ট করে নিবেন তবে কনভার্ট করার আগে অনলাইনে রেটটা জেনে নিবেন ।। এছাড়া কলকাতাতেও ভালো রেটে কনভার্ট করে নিতে পারবেন ।
কোথায় কোথায় বেড়াবেন:
শ্রীনগরঃ ডাল ও নাগিন লেক, মুঘল গার্ডেনস (নিশাতবাগ, শালিমারবাগ, চাশমেশাহি, পারিমাহাল), শঙ্করাচার্য হিল, জামে মসজিদ, হযরত বাল মসজিদ, টিউলিপ গার্ডেন, জাদুঘর, বোটানিক্যাল গার্ডেন। ১ দিন
পাহেলগাওঃ চান্দানওয়ারি, বেতাবভ্যালি, আরুভ্যালি, বাইসারান, লিদারওয়াত রিভার, সান টেম্পল, তুলিয়ান লেক। ২ দিন
গুলমার্গঃ গুলমার্গ গণ্ডোলা, আফারওয়াত পিক, খিলানমার্গ, বাবা রেশির মাজার, গলফ কোর্স, সেন্ট মেরী চার্চ, এলপাথর লেক, বায়সফিয়ার রিজার্ভ, ফিরজপুর নাল্লাহ। ১ দিন
সোনামার্গঃ জজিলা পাস, থাজিওয়াস গ্লেসিয়ার, গাঙ্গাবাল লেক, গাদসার লেক, ভিসান্তার লেক, সাসতার লেক। ১ দিন
এভাবে প্লান করলে আপনি ৫ দিনে মোটামুটি কভার করে ফেলতে পারবেন 🙂 তবে এখানে শুধুমাত্র একটা গাইডলাইন দিয়ে দিলাম। আপনি আপনার মতো কাস্টমাইজ করে নিতে পারেন ।
সব জায়গাতেই রিজার্ভ গাড়ী নিতে হবে আপনাকে চারজন বসার মতো গাড়ীগুলো ১২০০-১৫০০ নিবে এর চেয়ে বড়গুলো ২-৩ হাজার নিবে আপনি যাচাই করে দাম দর করে গাড়ী ঠিক করবেন ,কিন্তু এরপরও কথা আছে কাশ্মীরে এক জোনের গাড়ী আরেকজোন পর্যন্ত আপনাকে নিয়ে যাবে কিন্তু টুরিস্ট প্লেসগুলো দেখার জন্য আবার গাড়ী নিতে হবে ওখানকার যেমন পেহেলগাম ও সোনামার্গে রিজার্ভ গাড়ীতে যাওয়ার পর আবারও ওখানকার গাড়ী ভাড়া করতে হবে। যেমন পেহেলগামে থেকে আরু ভ্যালী ও চন্দনবাড়ী যেতে ভাড়া ১৬০০ রুপি। পেহেলগামে ৬ পয়েন্ট (পেহেলগাম ভিউপয়েন্ট, ধাবিয়ান, বাইসারান, কানিমার্গ, কাশ্মীর ভ্যালী ভিউ পয়েন্ট, waterfall) ঘোড়ায় প্রতিজনের ১৫০০-২০০০ রুপি। এদিকে সোনামার্গ থেকে থাজিওয়াস হিমবাহ গাড়ী ভাড়া ২৫০০- ৩৫০০/- রুপি।
এখন আসুন সময়ের হিসেবে। শ্রীনগরের সবকয়টি স্থান ভ্রমণের জন্য তিন-চার দিন সময় লাগবে। পাহেলগাও এর সবকয়টি স্থান ভ্রমণে চারদিন, গুলমার্গ তিনদিন, সোনামার্গ দুই দিন। সবমিলে ১২-১৩ দিন কাশ্মীর এর সবকয়টি স্পট ঘুরে দেখতে চাইলে। সাথে ইন্টারনাল ট্রান্সফারে আরও ২-৩ দিন যোগ করে ১৫ দিন। ১৫ দিনে আপনি মোটামুটি সবকয়টি স্থান ঘুরে দেখতে পাবনে। তবে একসপ্তাহের একটা ট্যুর হতে পারে এমনঃ পাহেলগাও তিনদিন, শ্রীনগর দুদিন, গুলমার্গ একদিন, সোনামার্গ একদিন।
খরচের হিসেব:
যাতায়াতঃ
ঢাকা থেকে কলকাতাঃ
Category A: ঢাকা থেকে যশোহর হয়ে বেনাপোল। সেখান থেকে কলকাতা। খরচ ৫০০-১০০০ টাকা।
Category B: ঢাকা থেকে বেনাপোল হয়ে কলকাতা (নন-ট্রানজিট এসি বাস)
Category C: ঢাকা থেকে বেনাপোল হয়ে কলকাতা (ট্রানজিট এসি বাস)
Category D: ঢাকা থেকে ট্রেনে (মৈত্রী এক্সপ্রেসে কলকাতা) ৫০০-১০০০ টাকা।
Category E: ঢাকা থেকে বাই এয়ারে কলকাতা। খরচ ৬০০০ টাকা।
কলকাতা-শ্রীনগরঃ
Category A: কলকাতা থেকে জম্মু হয়ে শ্রীনগর ১২০০-১৫০০ টাকা।
Category B: কলকাতা থেকে দিল্লী হয়ে জম্মু। সেখান থেকে বাসে শ্রীনগর। ১৫০০-২০০০ টাকা (নন-এসি স্লিপার ক্লাস)
Category C: কলকাতা থেকে দিল্লী হয়ে জুম্মু। সেখানে থেকে প্রাইভেট কারে শ্রীনগর। ৬০০০-৭০০০ টাকা।
Category D: কলকাতা থেকে দিল্লী বাই এয়ার। দিল্লী থেকে শ্রীনগর বাই এয়ার। ১০০০০-১২০০০ টাকা।
Category E: কলকাতা থেকে সরাসরি শ্রীনগর (উইথ/উইদাউট ট্রানজিট) ১২০০০-১৫০০০ টাকা।
থাকাঃ
Category A: জম্মু এন্ড কাশ্মীর ট্যুরিজম কর্পোরেশনের ডরমিটরিতে সিট, ৪০০ টাকা।
Category B: সাধারণ মানের ব্যাচেলরদের জন্য আদর্শ মানের হোটেল। ৬০০ টাকা।
Category C: ষ্ট্যাণ্ডার্ড হোটেল। ১২০০-১৫০০ টাকা।
Category D: তিন তারকা অথবা সম-মানের হোটেল। ২০০০-৩০০০ টাকা।
Category E: লাক্সারি তিন তারকা-চার তারকা হোটেল। ৩০০০-১৫০০০ টাকা। (উল্লেখ্য কাশ্মীর জোনে কোন পাঁচ তারকা হোটেল নেই। সবচেয়ে নামকরা গ্র্যান্ড মুমতাজ।)
খাওয়াঃ
Category A: যা পাই, তাই খাই। ড্রাই ফুড (রুটি কলা টাইপ) প্রতি বেলা অনধিক ৫০ টাকা।
Category B: সাধারণ ভারতীয় থালি টাইপ খাবার। প্রতি বেলা ১০০ টাকা।
Category C: ষ্ট্যাণ্ডার্ড মিল। ২০০ টাকা প্রতি বেলা।
Category D: ভালো মানের রেস্টুরেন্ট ৩০০-৪০০ টাকা প্রতি বেলা।
Category E: নামী রেস্তোরাঁ ৫০০-১৫০০ টাকা প্রতি বেলা।
(সকালের নাস্তার জন্য অর্ধেক খরচ ধরতে পারেন। আর হোটেলের থাকার সাথে ব্রেকফাস্ট ফ্রি থাকলে খরচ শূন্য। আমার মতে, থাকা উচিত এমএপি (মডিফাইড আমেরিকান প্ল্যান) এ, সকালের নাস্তা এবং রাতের খাবার হোটেল)
এবার কিছু দরকারী টিপস
১। কাশ্মীর পর্যটন এলাকা। এখানে সবকিছুর দাম বেশী চাইবে। তাই যাই করুন না কেনো, দরদাম করতে ভুলবেন না। তবে ভদ্রভাবে কথা বলবেন অবশ্যই।
২। এখানকার খাবারে মশলা বেশী থাকায় আমরা বাংলাদেশীরা খেতে সমস্যা হয়। ভাতের দামও অনেক বেশী । তাই রুটি খেলে খরচ কম হবে এবং খাওয়াও যাবে।
৩। সন্ধ্যা ৮টার পর হোটেলের বাইরে অযথা ঘোরাফেরা করবেন না। আর হ্যাঁ, কেনাকাটা করতে চাইলে রাত ৮ টার মধ্যেই সারুন। কারন রাত ৮ টার পর দোকান বন্ধ হয়ে যায়।
৪। যেখানেই যান পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে রাখুন।
৫। কাশ্মীর মুসলিম প্রধান (৯৯%)। তাই মুসলিম হলে পরিচয় দিলে সুবিধা পাবেন। আর একটি কথা কাশ্মীরীরা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে খুব পছন্দ করে এবং সাকিব আল হাসানের খুবই ভক্ত। তাই বাংলাদেশী পরিচয় দিন নির্দিধায়।
৬/ট্রাভেল ট্র্যাক্স ৫০০ টাকা যাবার আগে সোনালী ব্যাংকের যেকোন শাখায় দিয়ে দিলেই হবে তাহলে সীমান্তে আর এই ঝামেলাটা থাকলোনা ।।